শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির
"লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির"
- ছেলেবেলায় পড়েছিলাম। পড়তাম আর অবাক হতাম। শৈবাল আর দীঘি কি কথা বলতে পারে নাকি! তখন এর যথার্থ মানে বুঝতে পারিনি। এখন সম্ভবত বুঝি। বি জি এম ই এ হল সেই শৈবালের মতো যার অস্তিত্ব শ্রমিকদের দীঘিতে টিকে আছে। বার বার করে এতোগুলো মানুষ মারা যায়, তারা তদন্ত কমিটি করেই খালাস। কোথাও কিছু একটা হল তো সবার আগে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেই তারা খালাস। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আর কোনোদিন আলোর মুখ দেখে না। তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন- এইই তো অনেক বড়ো ব্যাপার। তারা জোর গোলায় দাবি করেন যে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন। ভালো কথা। কিন্তু কি করে এনেছেন? তারা নিজেরা কতোখানি শারীরিক পরিশ্রম করেন বা করেছেন? তাদের কেউ কি কোনোদিন প্রচণ্ড গরমের মাঝে ফ্যান বিহীন ফ্যাক্টরিতে কাজ করেছেন? নাকি তাদের কেউ দিনের পর দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা দাঁড়িয়ে থেকে ডিউটি করেছেন? সপ্তাহের সাত দিনই একটানা কখনো কি খেটে দেখেছেন? তাদের অবহেলায় এতো গুলি মানুষ মারা গেলো। কই, তাদের গণ্য মান্য কেউ তো সাভার গেলেন না কিংবা হাসপাতালে দেখতেও গেলেন না ওই সব হতভাগ্য শ্রমিক গুলি কেমন আছে।
খালি মুখেই বড়ো বড়ো কথা। এখন আবার নতুন করে ভয় দেখাচ্ছেন যে বাংলাদেশের সব গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি তারা বন্ধ করে দেবেন। দিক না বন্ধ করে। আমরাও দেখি গরিবের রক্ত না চুষে ওই সব পাষাণহৃদয় গার্মেন্টস মালিকেরা কি করে অমন বিলাসী জীবনযাপন করেন।
"লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির"
- ছেলেবেলায় পড়েছিলাম। পড়তাম আর অবাক হতাম। শৈবাল আর দীঘি কি কথা বলতে পারে নাকি! তখন এর যথার্থ মানে বুঝতে পারিনি। এখন সম্ভবত বুঝি। বি জি এম ই এ হল সেই শৈবালের মতো যার অস্তিত্ব শ্রমিকদের দীঘিতে টিকে আছে। বার বার করে এতোগুলো মানুষ মারা যায়, তারা তদন্ত কমিটি করেই খালাস। কোথাও কিছু একটা হল তো সবার আগে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেই তারা খালাস। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আর কোনোদিন আলোর মুখ দেখে না। তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন- এইই তো অনেক বড়ো ব্যাপার। তারা জোর গোলায় দাবি করেন যে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন। ভালো কথা। কিন্তু কি করে এনেছেন? তারা নিজেরা কতোখানি শারীরিক পরিশ্রম করেন বা করেছেন? তাদের কেউ কি কোনোদিন প্রচণ্ড গরমের মাঝে ফ্যান বিহীন ফ্যাক্টরিতে কাজ করেছেন? নাকি তাদের কেউ দিনের পর দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা দাঁড়িয়ে থেকে ডিউটি করেছেন? সপ্তাহের সাত দিনই একটানা কখনো কি খেটে দেখেছেন? তাদের অবহেলায় এতো গুলি মানুষ মারা গেলো। কই, তাদের গণ্য মান্য কেউ তো সাভার গেলেন না কিংবা হাসপাতালে দেখতেও গেলেন না ওই সব হতভাগ্য শ্রমিক গুলি কেমন আছে।
খালি মুখেই বড়ো বড়ো কথা। এখন আবার নতুন করে ভয় দেখাচ্ছেন যে বাংলাদেশের সব গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি তারা বন্ধ করে দেবেন। দিক না বন্ধ করে। আমরাও দেখি গরিবের রক্ত না চুষে ওই সব পাষাণহৃদয় গার্মেন্টস মালিকেরা কি করে অমন বিলাসী জীবনযাপন করেন।
